শিশুর জন্ম যেরম আনন্দ আনে তেমনই দ্বায়িত্ব বারে। জন্মের থেকে শিশুর স্বাস্থ্য মা বাবার একান্ত চিন্তা।এটা খুব দরকারী যে মা বাবা ডাক্তারের সব কথা মেনে দরকার মত টিকাকরণ দিয়ে যান।
টিকাকরণ কি এবং তা কেন দরকার?
মানুষের অনাক্রমতা আছে রোগের সাথে যুদ্ধ করার জন্যে। হানীকারক জীবানুদের মারার জন্য শরীর লক্ষ্ লক্ষ এনজাইম ও ফেগসায়্ত তৈরী করে। যদিও শিশু এই অনাক্রমতা মা বাবর থেকে পায় তাও তার শরীরের আরেকটু সাহায্যের দরকার। টিকাকরণ মানে সোজা কথায় বাইরে থেকে অনাক্রমতা দেওয়া।। হাজার বছর ধরে বিজ্ঞানীরা খুঁজে খুঁজে প্রত্যেক জীবানুর প্রতিরোধ করবার অস্ত্র বার করেছেন।। তারা শিশুর শরীরে জিবানুগুলির দুর্বল রূপ ঢুকিয়ে দেয় যাতে ভবিষ্যতে শরীর এই জীবানুকে চিনে আক্রমন করতে পারে।
ডাব্লিউ এইচ ও (WHO) বিশ্বের সব দেশের জন্য টিকাকরনের তালিকা তৈরী করেছে। জন্মের পর শিশুর মা বাবাকে এইতালিকা ধরিয়ে দেওয়া হয়।। মা বাবাদের এটা দায়িত্ব যে শিশু সব কটা টিকাকরণ সময় সময় যাতে পায় সেটা দেখা, না হলে ক্ষতি তারই। এখন এগুলির দামও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে গরিব মা বাবাও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় কোনো ত্রুটি না করে।
কিছু দরকারী টিকাকরণ :
১. ওরাল পোলিও টিকাকরণ (OPV)
৫ বছর বয়স অবধি সব বাচ্চাদের জন্য। এটি বিনামূল্যে পাওয়া যায় এবং পোলিওর থেকে শিশুকে রক্ষা করে।।
২. ব্যাসিলাস ক্যাল্মেট গুয়ারিন (BCG)
এটি শিশুকে টিবির থেকে রক্ষা করে। ৫ বছর বয়স অবধি দেওয়া হয় এবং ১৫ বছর অবধি কাজ করে।
৩. মিসেল্স মাম্পস রুবেলা (MMR)
৯ মাস বয়সে প্রথম বার ও দ্বিতীয় বার ১ বছর বয়সে।
৪. ডিপথেরিয়া টিটেনাস পারটুসিস (DPT)
১.৫ মাস বয়স থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত দেওয়া হয়।
৫. রতাভায়রাস
৬ মাসের নিচের শিশুদের জন্য পেট খারাপ থেকে রক্ষা করে।
৬. হেপাটায়তিস বি
সদ্যজাত শিশুদের দেওয়া হয় লিভারের রোগ থেকে বাঁচাতে। মার যদি এই রোগ থাকে তো বেশি মাত্রায় দেওয়া হয়।।
বিশ্বে এখনো তর্ক চলছে যে টিকাকরণ দেওয়া উচিত কি নয়। তাও আমাদের মত দেশে যেখানে এত অসুস্থ্যতা আছে শিশুদের তার থেকে রক্ষা করার জন্য এটা দরকার।।
মা বাবা হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব শিশুর যত্ন নেওয়া ও ডাক্তারের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা।
শিশুদের বি সি জি টিকাকরণের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।