আপনি যতই চেষ্টা করুন, শিশুকে সর্বদা অসুস্থতার থেকে বাচাতে পারবেন না। বাইরের আবহাওয়া আপনাকে হারিয়ে দেবে। তাই ঠান্ডা ও সর্দি কাশির জন্য কিছু সহজ প্রতিকার জানা দরকার:
১. স্তনদুগ্ধ
খুব ছোট শিশুদের জন্য এটাই যথেষ্ট জীবানুদের দূর করার জন্য। বেশি পরিমানে খাওয়ালে শিশু বহুদিন জীবানুর সাথে লড়াই করে সুস্থ থাকবে!
২. স্যালাইন ড্রপ
সর্দি হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এই ড্রপ দিনে ২-৩ বার নিলে নাক পরিষ্কার হবে ও শ্বাস নিতে সুবিধা হবে।
৩. তরল পদার্থ
জীবানুদের শিগ্র দূর করতে হলে শিশুকে ভালো করে তরল খাদ্য দেবেন। সর্দি কাশি হলে তো অবশ্যই।
৪. সুপ
গরম সুপ দিলে শরীরে তরল খাদ্য যাই ও গরম শিশুর গলা আরাম পাবে।
৫. মধু
মধু খেতেও ভালো ও গলায় আরাম দেয়।
৬. তেল মালিশ
অনেক তেলে জীবানুদের আক্রমন করার শক্তি থাকে।তেল শরীরকে গরম রাখে ও অসুস্থতা সারায়।
৭. মাথা শরীরের থেকে উচুতে রাখা
মাথাটা শরীরের থেকে একটু উচুঁতে রাখলে শিশুর শ্বাস নিতে সুবিধা হবে।
৮. দুধের জিনিশ বারণ
দুধ বা দুধ দিয়ে তৈরী কিছু দেবেন না, কারণ গলায় মিউকাস বারে।
৯. পেয়াজ
পেয়াজ বা তার রস খেলে সর্দি কাশি তাড়াতাড়ি কমে যায়।
১০. জলপট্টি
শিশুর জ্বর হলে জলপট্টি নিয়ে তা ডিমের সাদায় ডুবিয়ে শিশুর মাথায় দেবেন। তাপ জলদি কমে যাবে।
১১. গা মুছিয়ে দেওয়া
শিশুর গা জল দিয়ে মুছিয়ে দিলে শরীরের তাপ কমে।
১২. আরাম করা
আরাম না করলে শরীরে শক্তি আসবে না রোগ অতিক্রম করার।
১৩. ভেপর রাব
এটি শিশুর পিঠে, বুকে, গলায় ও পায়ের তলায় দিলে জ্বর কমে।
১৪. ক্যারম বীজ বা আজোয়ান
এই বীজ দিয়ে জল ফুটিয়ে শিশুকে দিন। কাশি দূর চলে যাবে।
১৫. রসুন ও ক্যারম বীজ বা আজোয়ান
রসুন ও ক্যারম বীজ কাপড়ে মুরে শিশুর খাটের পাশে রাখবেন নাক পরিষ্কার হয়ে।
১৬. নরম খাবার
শরীর ঠিক করতে হলে শিশুকে নরম খাবার দিন যা খাওয়া খুব সোজা।
১৭. হিউমিদিফায়ার
এটি ঘরে বসালে শিশুর শ্বাসকষ্ট হবে না।
১৮. ভাপ
ভাপ নিলে নাক পরিষ্কার হয় ও শ্বাসকষ্ট কমে।
১৯. কাশির ড্রপ
খুব ছোট শিশু না হলে কাশির ড্রপ দিতে পারেন, যা গলায় আরাম দেয়। তবে খুব ছোটো শিশু হলে গলায় আটকেযেতে পারে।
২০. গার্গল করা
উষ্ণ নুন জল দিয়ে গার্গল করলে মিউকাস ও জীবানু দুটোই পরিষ্কার হয়ে যায়।
২১. লেবুর রস
মধু দিয়ে লেবুর রস খেলে কাশি কমে ও শিশুর শরীরে জল থাকে।
২২. হলুদ দিয়ে দুধ
শুকনো কাশি হলে হলুদ দিয়ে দুধ দেবেন। ভালো ঘুম হবে ও শরীর ভালো থাকবে।
২৩. আদা ও মধু দিয়ে জল
খেতেও ভালো ও রোগকে অতিক্রম করে। তবে জল যেন গরম হয়।
২৪. জাফরান দুধ
এটি কেশর দুধ নামে পরিচিত, এটি ঠান্ডা ও কাশি কাটিয়ে উঠতে কার্যকর। এটি ছোট শিশুদের জন্য ভাল, উপযুক্ত।
২৫. ঘি ও কালো মরিচ
খেতেও ভালো ও কাশি খুব শিগ্র কমিয়ে দেয়।
এই উপকরণগুলি বাড়িতে সহজে করা যায়। তবুও শিশুকে কিছু দেওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিলে ভালো। বাড়ি পরিষ্কার রাখবেন যাতে শিশুর শরীর খারাপ না হয়।