শিশুকে মানুষ করা আপনার জীবনের সব চেয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা। তবে শিশুর যত্ন শুধু খাওয়ানোতে শেষ হয় না, সদ্যোজাতকে মালিশ করাও দরকার। ঠিক করে মালিশ করলে শিশু আরো দ্রুত বেগে বেড়ে ওঠে।
কিন্তু মায়েদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে যেমন কি তেল দিয়ে মালিশ করবেন? কেমন করে মালিশ করবেন? কতক্ষণ ধরে করা উচিত? এই কাজটা খুব কোমল ভাবে করতে হয় এবং এই সময় বাড়ির বৃদ্ধরা সাহায্য করতে পারেন।
সদ্যজাত শিশুদের স্নানের সময় হালকা তেল দিয়ে মালিশ করলেই হবে। এই তেল আপনি বাজার থেকেও কিনতে পারেন বা নিজে তৈরী করতে পারেন। শিশুকে হাতের ওপরে নিয়ে মালিশ করতে পারেন বা মোটা তোয়ালেতে শুয়ে দিয়ে।
সদ্যজাত শিশুদের মালিশ করার সময় আস্তে আস্তে হাঁট পা মালিশ করবেন এবং কোমল ভাবে আঙ্গুলগুলি টানবেন. বুক আর পিঠ ও বুলিয়ে দিতে পারেন।
শিশু আরো বড় হলে অন্য ভাবে মাইশ করবেন। তাকে আদর করুন, গালে গাল লাগান, চুমু খান ও তার সাথে কথা বলুন।
১. পা
হাতে অল্প তেল নিয়ে জাং থেকে শুরু করে নিচে আসুন হালকা গতিতে এগিয়ে।
২. পায়ের পাতা
বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে গোল গোল ভাবে মালিশ করবেন।
৩. পায়ের আঙ্গুল
কোমল ভাবে টানবেন যতক্ষণ না হাত থেকে বেরিয়ে যায়।
৪. হাত
ওপর থেকে শুরু করে দুধ গতিতে এগন।
৫. কব্জি
কোমল ভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করুন।
৬. আঙ্গুল
কোমল ভাবে টানবেন যতক্ষণ না হাত থেকে বেরিয়ে যায়।
৭.বুক
দু হাত দিয়ে বাইরের দিকে বুলিয়ে দিন।
৮. পেট
আলতো করে হাত দিয়ে বোলান।
৯. পিঠ
শিশুকে পেটের ওপর শুইয়ে মেরুদন্ডের ওপর গোল গোল করে মালিশ করুন।
১০. পশ্চাত দেশ
আস্তে করে হাঁট দিয়ে বুলিয়ে দিন।
১১. মুখ
গাল, কপাল, নাক ও থুতনিতে বুলিয়ে দিন. খেয়াল রাখবেন চোখে, কানে বা মুখে যেন না ঢোকে।
১২ মাথা
আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে মালিশ করবেন।
মালিশ করলে শিশুর হার শক্ত হয় এবং সে আরাম পায়। তবে খাওয়ার পর বা ঘুমোবার সময় করবেন না।