সবাই সব সময় চেষ্টা করে ওজন কমাতে কিন্তু অনেক সময় সফল হয় না। রোগা রোগা বন্ধুদের দেখে তো আরও কষ্ট হয়! আর তার ওপর সন্তান প্রসবের পর তো চেহারা একেবারে হাতের বাইরে চলে যায়!
অনেকদিন নিজেকে প্রসস্তি দেওয়া যায় ঠিকই যে চেহারার চেয়ে শিশু বেশি জরুরি এবং আপনি খেতে সব থেকে বেশি ভালোবাসে, কিন্তু একদিন শেষ মেষ ঠিক করেন যে না, রোগা হতেই হবে এবং পরামর্শ চান মা ও বন্ধুদের থেকে:
১. ভাজাভুজি খাবে না
২. অল্প করে একাধিক বার খাও
৩. ব্যায়াম কর
৪. চকলেট বন্ধ
৫. জুস দিয়ে পেট ভরাও
এক মাস চেষ্টা করে পছন্দের খাবারের থেকে দুরে সরেও হয়তো থাকেন, কদিন ঠিকও থাকেন কিন্তু তারপর যে কে সেই!
তাহলে চলুনজেনে নিই কিছু আসল উপায়:
১. এক বারে সব অভ্যাস বন্ধ করবেন না। শরীরকে সময় দিন সব নতুন খাবার ও দিন রাত ব্যায়াম করার জন্য! না হলে খুব তারাতারি মন খারাপ হয়ে যাবে!
২.সব পছন্দের খাবার এক বারে ছাড়বেন না।এতে মন ও পেট দুটি অসন্তুষ্ট হবে।
৩. জুস দিয়ে পেট ভরানোর চেষ্টা কখনো করবেন না। বেশির ভাগ সময় তাতে অধিক পরিমানে চিনি থাকে। খাবারের মত পুষ্টিকরও না এই জুস, তাই এক বেলায় শুধু জুস খেয়ে থাকবেন না!
আরও অনেক ভুলই হয়তো করে থাকেন এবং প্রধান ভুল এই যে ওজন কমাতে গিয়ে স্বাস্থ্যকে পাত্তা দেননা। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট একেবারে বন্ধ করা ভুল।কম খাবেন কিন্তু খাবেন নিশ্চই!
ব্যায়াম বলতে যে জিমই করতে হবে তার কোনো মানে নেই। দিনে আধ ঘন্টা হাঁটলেও হয়ে যায়।
সদ্যজাত শিশু থাকলে খাওয়া কমাবেন না; এতে শিশুর ক্ষতি হবে। যাদের বাচ্চা আছে তাদের একটু সামলে চলতে হবে।ছেলে মেয়েদেরকে ভালো খাওয়ার থেকে বঞ্চিত করবেন না।
আপনি কি জানেন, এক ঘন্টা হাঁটার পর শরীর তারাতারি ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলে? রোগা হওয়ার আগে সুস্থ থাকবেন। ঠিক করে খেলে ও ব্যায়াম করলে ওজন কমতে বাধ্য!