আমরা এখন ২১শে শতাব্দীতে বাস করি। তবুও এমন অনেক কুসংকার বা কল্পনা আজও আমাদের সমাজকে ঘিরে রেখেছে যা আমরাও সাত্ত্বিক ভয়ের কারণেই হোক বা মনের ইতস্তত বোধ থেকেই হোক; বিশ্বাস করে থাকি। তার মধ্যে একটি হল মহিলাদের মাসিক। আজকের দিনেও সমাজ মাসিক নিয়ে অনেক কুসংস্কার ধরে রেখেছে। আসুন এবার সবাই মিলে এই বাধন খুলে বেরিয়ে যাই!!
১. টক খাবার খাবে না
বলা হয় টক খেলে ব্যথা বারে। কিন্তু বিজ্ঞান দেখিয়ে দিয়েছে এটি মিথ্যে! বরং এই সময় অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সাথে সাথে সাইট্রিক এসিড দেওয়া পুষ্টিকর খাবারও খাবেন।
২. এই সময় মহিলারা অপরিষ্কার হয়ে যায়
মাসিক খুব স্বাভাবিক জিনিস। রক্তের কথা ভেবে লোকে এই কথা বলে। কিন্তু এই রক্তপাতই তো ইঙ্গিত যে এই মহিলা একদিন মা হবে! তাই নয় কি? আর পরিছন্ন ভাবে থাকলে অপরিষ্কার কোথায়?
৩. গরম জলে রক্তপাত বারে
গরম জলে রক্তপ্রবাহ বাড়ে ঠিকই, তবে এটি কোনো খারাপ লক্ষণ নয়, বরং ভাল। এতে মহিলাদের ব্যথা কমে যায় এবং আরাম দেয়।
৪. ট্যাম্পুন শরীরে ঢুকে যায়
এটা অসম্ভব। আপনি যখন চাইবেন তখনই ট্যাম্পুন বার করতে পারেন।
৫.ট্যাম্পুন ব্যবহার করলে আপনি কুমারী নন
হাইমেন থাকা বা না থাকা আপনার কুমারিত্বের পরীক্ষা নয়। এখন মেয়েরা খেলা ধুলা, নাচ গান, সাইক্লিং করে বলে আগেই হাইমেন ছিড়ে যায়। এর সাথে ট্যাম্পুনের কোনো সম্পর্ক নেই।
৬. মাসের এই সময় আচার ধরলে তা পচে যায়
যত ইচ্ছে আচার খান, এমন তো নয় যে যোনির রক্ত আঙ্গুলে উঠে আসবে! এটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে।
৭. মন্দিরে যাবেন না
যখন ইচ্ছে মন্দিরে যাবেন, ভগবানই মহিলাদের এরম বানিয়েছেন, উনি রাগবেন না! মাসিক প্রত্যকেকটি মানুষের হাত পা থাকার মতোই একটি সাধারণ জিনিস। কোনো ব্যক্তির যদি কোনোরকম দুর্ঘটনায় হাত বা পা কাটা যায়, তিনি কি মন্দিরে ঢোকেন না? তাহলে আপনি কেন নয়?
গর্ভাবস্থায় মাসিক রক্তপাত কেমন হবে তা জানতে এখানে ক্লিক করুন।