আমাদের দেশে এমন অনেক দম্পতি আছে যাদের ইচ্ছা থাকলেও সন্তান হয় না। ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব এটি একটি গুরুতর সমস্যা,বর্তমানে এই রোগের অনেক চিকিৎসা তৈরি হয়েছে।
বন্ধ্যত্ব কী?

কোনো দম্পতি একসাথে শারীরিক মেলামেশা করার পরেও যদি তাদের সন্তান না হয় তাহলে আমরা বলতে পারি তারা ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগছে।
নারী পুরুষ পার্থক্যটা কেমন?

নারী-পুরুষ সমানভাবেই এই সমস্যার জন্য দায়ী । ১০০ জন নিঃসন্তান দম্পতির মধ্যে ৫০টি দম্পতির ক্ষেত্রে পুরুষের সমস্যা আর বাকি ৫০টি দম্পতির ক্ষেত্রে নারীর সমস্যা হয়ে থাকে। এর মধ্যে দুজনেরই সমস্যা আছে এমন দম্পতি রয়েছে ১২ থেকে ১৫%।
সন্তান হচ্ছে না- এর কারণ কী?

১০ % মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো সমস্যা নেই তারপরও সন্তান হচ্ছে না। পৃথিবীর সব দেশেই এ ধরনের সমস্যার জন্য পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার ফল কারুর সমস্যা জানা যায় কারুর জানা যাই না। সেই কারণে চিকিৎসা সফল হয় না।
বন্ধ্যাত্ব-এর সমস্যা

পলিসিস্টিক ওভারি একটা কারণ হতে পারে। ফলিকুলার সিনড্রম নামে একটি সিনড্রম রয়েছে, যেখানে নারীদের মাসিক নিয়মিতই হচ্ছে, অন্য সবকিছুই স্বাভাবিক, কিন্তু ওই সিন্ড্রমের ফলে যে ডিম্বাণু তৈরী হবে সেটি হচ্ছে না এবং এটির হার ২৫ থেকে ৩৫%। তাই সিনড্রম একটা বড় কারণ হতে পারে।
দ্বিতীয় হচ্ছে পিসিও(পলিসিস্টিক ওভারি) যেখানে সিস্ট হয়, যে সিস্টগুলো পরিণত হয়ে ফেটে ডিম্বাণু হয়। অনেক সময় এই কাজটি সম্পূর্ণ হতে পারে না, তখনই সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। অন্য একটি কারণ, ইউটেরাস যেখানে বাচ্চা বড় হয় সেটার দুই পাশে ফেডোপেন টিউব ওভারির কাছাকাছি গিয়ে শেষ হয়। ওভারি থেকে ডিম্বাণু ফেডোপেন টিউবে আসে। সেখানে স্পার্ম গিয়ে ফার্টিলাইজেশন করে। অনেক সময় এই ফেডোপেন টিউব বন্ধ হয়ে যায় আর এটার প্রধান কারণ হলো ইনফেকশন। আর এর ফলে ডিম্বাণু আসতে পারে না এবং স্পার্ম-এর সাথে মিলিত পারে না। এর ফলে বন্ধ্যত্ব সমস্যা দেখা দেয়।